সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন স্যাম অল্টম্যান। এর অংশ হিসেবে ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের খোঁজ করছেন ওপেনএআইয়ের প্রধান।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে টেকটাইমসের খবরে বলা হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৫-৭ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে। এ প্রকল্পের মূল্য উদ্দেশ্য ওপেনএআইয়ের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় এআই চিপের ঘাটতি মোকাবেলা করা।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যাম অল্টম্যান এ প্রকল্পের তহবিল সংগ্রহে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সরকারসহ সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। অল্টম্যানের মতে, প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে এআই সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী চিপ বিল্ডিং সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত করা।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রকল্পটির পেছনে গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিটের (জিপিইউ) ঘাটতি মোকাবেলা করা একটি অন্যতম মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে, যা ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটির মতো এআই সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয়। মূলত এ চিপগুলো লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলের প্রশিক্ষণ এবং আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্সের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগকারী, চিপ নির্মাতারা ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের সঙ্গে অংশীদারত্ব গঠনের পথে হাঁটতে পারেন স্যাম অল্টম্যান। আগ্রহী অংশীদারদের যৌথ অর্থায়নে চিপ কারখানা তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। ওপেনএআই উৎপাদিত চিপগুলো যথেষ্ট পরিমাণে কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অংশীদাররা এ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্যাম।
কিন্তু উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন চিপ প্লান্টের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে কাজ করা এবং বৈশ্বিক কর্মী ঘাটতি মোকাবেলা করা। এছাড়া সরবরাহ চেইনের ওপর বিদেশী নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেয়া হলে মার্কিন আইনপ্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকরা উদ্বিগ্ন হতে পারেন। অল্টম্যানের এ প্রকল্প এমন এক সময়ে এসেছে যখন ওপেন এআইয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রবৃদ্ধি চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য জেনারেটিভ এআই টুলের সাফল্যের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। স্যাম অল্টম্যানের লক্ষ্য ব্যবসায়িক কাজে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৫ সালের মধ্যে ওপেনএআইয়ের আয় দ্বিগুণ করা।
মাইক্রোসফটর সঙ্গে ওপেনএআইয়ের কৌশলগত অংশীদারত্ব তাদের প্রবৃদ্ধির যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এআই কোপাইলটসহ বিভিন্ন এআই প্রকল্পে ওপেনএআই মুনাফা ও বাজার সম্প্রসারণে অবদান রেখেছে। অল্টম্যানের প্রকল্পটিকে এআই বিকাশের বাইরেও সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ চেইনকে শক্তিশালী করা এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good.
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.