পাটপণ্যের প্রত্যাবাসিত রপ্তানিমূল্য সংশ্লিষ্ট মিলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থা পরিচালকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বেসরকারি পাটকলের সংগঠন বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সূত্রে জানা গেছে, সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে পাট থেকে পণ্য উৎপাদনকারী রপ্তানিকারকরা আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচবেন। পাটপণ্য সরাসরি মিল কর্তৃপক্ষ রপ্তানি করে। আবার বড় একটি অংশ মধ্যস্বত্বভোগী বা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে রপ্তানি হয়ে থাকে। এ মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পাঠানো পণ্যের রপ্তানিমূল্য সময়মতো পাওয়া যায় না। অনেক মিলের অর্থ এভাবে বেহাত হয়েছে, অতীতে এ রকম অনেক ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পাটপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ইএক্সপি রিপোর্টিংয়ের প্রচলিত পদ্ধতি থেকে ভিন্নতা থাকায় অনেক ক্ষেত্রে পাট ও পাটপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ইএক্সপি ইস্যু করা হলেও পণ্য জাহাজীকরণ এবং মূল্য প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত রিপোর্টিং মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান বা তাদের ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি পর্যালোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাটপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে তাদের ব্যাংক আবশ্যিকভাবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য অর্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংককে যথাযথভাবে পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
Related Posts
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আন্তর্জাতিক আস্থা তৈরি করতে হবে
ব্যাংক খাতে অর্থ লোপাট দ্রুত সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে
রেমিট্যান্স সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কি?