জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়া রাজস্ব আদায়ে নিম্নমুখী। এ কারণে জমি রেজিস্ট্রেশনে ফের উৎসে করহার কমানোর কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর আগে অক্টোবরে জমি নিবন্ধনে খরচ কমায় এনবিআর।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এনবিআরের জারি করা এক সংবিধিবদ্ধ নিয়ন্ত্রক আদেশ (এসআরও) থেকে জানা যায়, নির্দিষ্ট কিছু জমির ক্ষেত্রে এনবিআর করহার আট শতাংশ থেকে কমিয়ে ছয় শতাংশ ধার্য করেছে। নতুন এ পদক্ষেপ কমমূল্যের ভূমি ক্রয়ে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক বলে মনে হলেও অর্থের পরিমাণ নির্দিষ্ট উৎসে করের চেয়ে বেশিই থাকবে, যা আগের মতোই রয়ে গেছে। আর এ পরিস্থিতিতে নতুন হারে উৎসে কর ধার্য করা হয়েছেএসআরও-তে বলা হয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং গাজীপুরের সিটি করপোরেশন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত দপ্তর ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে থাকা বাণিজ্যিক জমি অথবা এদের অধীনে থাকা আবাসিক এলাকা অথবা অধীনে না থাকা বাণিজ্যিক জমি যাতে আবাসন কোম্পানির মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে- এসব জমি ছাড়া অন্যান্য জমির ক্ষেত্রে এ নতুন নিয়ম প্রযোজ্য।ওপরে উল্লেখিত শ্রেণিকৃত জমির ক্ষেত্রে গুলশান, বনানী, মতিঝিল এবং তেজগাঁওয়ের মতো নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে ছয় শতাংশ কর ধার্য হবে। তবে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন এবং উচ্চমূল্যের জমির ক্ষেত্রে আট শতাংশ করই বলবৎ থাকবে। ফলে এসব জমির জন্য বেশি অর্থ দিতে হবে।চলতি বছরের জুনে জাতীয় সংসদে ভূমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন কর দ্বিগুণ করা হয়েছিল। চুক্তিপত্রের মূল্যমানের ওপর কর হিসাব হবে বলে আইন প্রণীত হয়। এতে সংশ্লিষ্ট খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ উচ্চহারের করের প্রভাবে গেলো অর্থবছরে ভূমি ও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যায়। এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় এক-তৃতীয়াংশ কমে আসে বলে জানায় এনবিআর।
এর পর গত অক্টোবরে এনবিআর জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে তাদের কর সংগ্রহের পদ্ধতি বদলেছিল। এ পদ্ধতিতে উৎসে কর ধার্য হবে মৌজা এবং জমির ধরনের ওপর। যেমন তা আবাসিক, বাণিজ্যিক, রিয়েল এস্টেট অথবা ডেভেলপারদের দ্বারা জমির উন্নয়নকাণ্ড ঘটছে কি না তার ওপর। আগে আয়তন এবং শ্রেণি বিভাগের ভিত্তিতে কর ধার্য হতো।