প্রশ্নঃ নবীজী (স) এবং আসহাবে সুফফারা কি প্রাচুর্যে মন্ডিত ছিলেন? সেটা কি পারলৌকিক জীবনে অনন্ত আনন্দলোকের প্রাচুর্য, নাকি ক্ষণস্থায়ী জাগতিক প্রাচুর্য? কোন ধরনের প্রাচুর্য সত্যিকার অর্থে কাম্য? জাগতিক এবং পারলৌকিক প্রাচুর্যের সমন্বয়ে আপনার নির্দেশনা কী?
উত্তরঃ নবীজী (স) এবং আসহাবে সুফফারা প্রাচুর্যবান ছিলেন না—এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। জীবনের শেষ দশকে নবীজী (স) একটি রাষ্ট্রের কর্ণধার ছিলেন। খোলাফায়ে রাশেদান অর্ধ পৃথিবীর শাসক ছিলেন। তাঁরা কি দরিদ্র ছিলেন? হযরত ওমরের সময় পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল। নবীজীর (স) সাহাবীরাই এই বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়েছিলেন। তারা কেউ কিন্তু গরিব ছিলেন না। তারা সম্পদের অপব্যবহার করেন নি—সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করেছেন। যারা নবীজী (স) এবং তাঁর সাহাবীদের গরিব বলেন, তারা আসলে ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না বা জানলেও ভুল ধারণা পোষণ করেন। অনেকে ভাবেন, গরিব বানালে বোধ হয় তাঁদের মাহাত্ম্য বাড়বে। আসলে তা নয়।
দুনিয়াতেও তারা গরিব ছিলেন না, আখেরাতেও তাঁরা প্রাচুর্যবান হবেন। সূরা ইব্রাহিমের ২৭ আয়াতে বলা হয়েছে—আল্লাহ বিশ্বাসীদের দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানেই প্রতিষ্ঠা দান করেন। অতএব আখেরাতে ভালো থাকার জন্যে দুনিয়াতে গরিব থাকার কোনো প্রয়োজন নেই—এ সত্যটি মহামানবরা তাদের জীবন দিয়ে দেখিয়ে গেছেন। আপনি যদি নবীজীর (স) অনুসারী হন, দুনিয়াতেও আপনাকে প্রাচুর্যবান হওয়ার জন্যে চেষ্টা করতে হবে। একজন বিশ্বাসী মানুষের দুনিয়ার সাফল্য তার আখেরাতের সাফল্যকে বাড়িয়ে দেয়। কারণ তিনি জানেন সম্পদ কীভাবে কাজে লাগাতে হয়।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড