Business Care News

News That Matters

interview, job application, job interview

প্রশ্নোত্তর সিরিজ – পর্ব ১৯১: ভাইভা বা ইন্টারভিউ ভীতি

প্রশ্নঃ আমি ভাইভা বা ইন্টারভিউ বোডর্কে খুব ভয় পাই। অনেক সময় এমন হয় যে, জানা প্রশ্নের উত্তরও মনে পড়ে না। এ ভীতি থেকে কীভাবে মুক্তি পাবো?


উত্তরঃ ভাইভা বোর্ডে আসলে একজন পরীক্ষার্থী বা প্রার্থীর মেধা বা জ্ঞানের চাইতেও তার আত্মবিশ্বাস এবং তার ব্যক্তিত্বের সাবলীলতা এবং নিজেকে উপস্থাপন করার দক্ষতা ও কুশলতা যাচাই করা হয়। কারণ ভাইভা বোর্ডে পরীক্ষক বা প্রশ্নকারী হিসেবে যারা থাকেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের বহুদর্শনের অভিজ্ঞতা দিয়ে অল্পসময়ের ভেতরেই তারা প্রার্থীর এ দক্ষতাগুলোকে যাচাই করে নিতে পারেন। কাজেই নার্ভাস না হয়ে যত শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পারবেন, পরিস্থিতিকে তত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, অর্জন করবেন আপনার পরীক্ষকদের সুদৃষ্টি।

অতএব সহজ, প্রশান্ত মনে ভাইভায় অংশ নিন। শিক্ষকদের বিচারক না ভেবে সহযোগী ভাবুন। এবং কোনো অবস্থাতেই কন্ট্রাডিকশন এর মধ্যে যাবেন না, যাতে এটা প্রমাণ হয় যে হাঁ, টিচারও রাইট আপনিও রাইট। যাতে টিচার মনে করে যে এটা একটা অপিনিয়ন- এটাও চলে, ওটাও চলে। টিচার ভুল- এটা কখনো বক্তব্য থেকে আসতে পারবে না। ফলে ভাইভা বোর্ড বা যেকোনো পরিস্থতিতে আপনার প্রশান্ত প্রত্যয়, বিনয় আর সাবলীল উপস্থাপনা শিক্ষকদের সপ্রশংস দৃষ্টি কেড়ে নেবে।

আর ইন্টারভিউতে সবসময় মনে রাখবেন- ‘বস ইজ অলওয়েজ রাইট’, অর্থাৎ বস যা বলবেন তাতেই সম্মত হবেন। কিন্তু নীতিগত ব্যাপারে বা নিজের বক্তব্যে স্থির থাকবেন- ওখানে আপস করতে যাবেন না। অর্থাৎ নিজের বক্তব্যে বিনয়ী কিন্তু দৃঢ় থাকবেন। এ সূত্রগুলো কাজে লাগানোর জন্যে নিয়মিত অটোসাজেশন দিন, কমান্ড সেন্টারকে ব্যবহার করুন। আর বাস্তব দক্ষতাগুলো অর্জনের জন্যে কাজ করুন।

তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড

Skip to content