প্রশ্নঃ বিয়েটা কি ভাগ্য, নাকি মানুষ নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? এ ব্যাপারে কোয়ান্টাম কী মনে করে?
উত্তরঃ আসলে বিয়ের ক্ষেত্রে ভাগ্যের ওপরে নির্ভর করবেন না, কর্মের ওপরে নির্ভর করবেন। অন্য আর দশটা ব্যাপারে আপনি যেমন আপনার প্রস্তুতি আর প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করেন, যেমন, একটা ভালো চাকরি বা ভালো রেজাল্টের জন্যে চেষ্টা করেন, পরিশ্রম করেন; তেমনি বিয়ের জন্যেও আপনাকে চেষ্টা করতে হবে। একটা পরিকল্পনা থাকতে হবে।
সবকিছুর জন্যে পরিকল্পনা করবেন আর বিয়েটাকে বলবেন ভাগ্য, তাহলে কীভাবে হবে? সমস্যা হলো, বিয়ের ব্যাপারে আমাদের কোনো পরিকল্পনা থাকে না, শুধু কল্পনা থাকে। তারপর কল্পনার সাথে গরমিল হলে ভাগ্যকে দোষারোপ করি। তাই বিয়ের ব্যাপারে পরিকল্পনা করতে হবে যে, আমি কেমন জীবনসঙ্গী চাই। সেইসাথে নিজের যোগ্যতাটাও দেখতে হবে।
বর্তমানে বিয়ের ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষের চিন্তাভাবনাই মোটামুটি বাস্তবতাবর্জিত। আর সবচেয়ে বড় অসুবিধাটা হলো, টিভি সিরিয়াল দেখতে দেখতে আমাদের চিন্তাভাবনাও বায়বীয় হয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, জীবনটাও একটা টিভি সিরিয়াল। কিন্তু জীবন তো টিভি সিরিয়াল না। জীবন হচ্ছে লক্ষ্য, পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কাজ-এই তিনের সমষ্টি।
আসলে বিয়ে একটা প্রয়োজন। বিয়ে আর প্রেম এক নয়। বিয়ে এবং প্রেমকে একাকার করে ফেলি বলেই আমরা ভুল করি। প্রেমিকা আর স্ত্রী এক নয়, তেমনি প্রেমিক আর স্বামীও এক নয়। প্রেমিক-প্রেমিকার কোনো দায়িত্ব নেই-শুধু রেস্টুরেন্টে ঘোরাঘুরি ছাড়া। কিন্তু বিয়ের পরে দায়িত্ব আছে। সকাল হলে নাশতার ব্যবস্থা কী হবে, এই দিয়ে দিন শুরু। স্বামী হলে তাকে নাশতার উপকরণ আনতে হবে। স্ত্রী হলে তা তৈরি করে পরিবেশন করতে হবে। এবং এরপর আরো আরো দায়িত্ব তো আছেই।
এই বিষয়গুলো যখন বুঝবেন, অনুধাবন করবেন তখন দেখবেন, আর কোনো সমস্যা নেই। তখন আপনি বিয়েটাকে আর ভাগ্য মনে করবেন না। বিয়ের ব্যাপারে আপনার যথাযথ প্রস্তুতি থাকবে এবং আপনি সেভাবেই কাজ করতে পারবেন।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড