প্রশ্নঃ শুধু কি মেয়েরা প্রতারিত হয়? ছেলেরা কি হয় না?
উত্তরঃ হয়। ছেলেরাও প্রতারিত হয়। একটি ছেলের ঘটনা-মেয়েটি প্রথমে রাজি না হলেও বছরখানেক পর সে নিজেই প্রস্তাব দেয় ছেলেটিকে। ছেলেটি তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে মেয়ের নামে ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয়া থেকে শুরু করে বোনের বিয়েতে টাকা দেয়া, ভাইয়ের অপারেশনে সাহায্য করা, মাকে ঋণমুক্ত করা ইত্যাদি অনেকভাবে আর্থিক সাহায্য করতে লাগলো। সবই করেছে মেয়েটির পছন্দের মানুষ হওয়ার জন্যে। কিন্তু কিছুদিন পর মেয়েটি অন্য আরেকটি ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুললো। ছেলেটিকে স্রেফ জানিয়ে দিলো, তার কাছে সে কেবল তাদের পরিবারের একজন পাওনাদার ছাড়া আর কিছু নয়।
আরেকটি ঘটনা। এটা ছেলেটির নিজের জবানিতেই শুনুন- ‘আমি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলাম। আমার একটা রোগ ছিলো- প্রেমরোগ। চার/ পাঁচটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছিলাম। কিন্তু প্রতারিত হয়েছি সবখানেই। সবাই আমার মেধাকে তাদের লেখাপড়ার কাজে ব্যবহার করে আমাকে ছুঁড়ে ফেলতো ডাস্টবিনে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রতারিত হয়েছি যেখানে সে ঘটনাটাই এখন বলবো।
আমি একটি মেয়েকে পড়াতাম। শ্যামলা বর্ণের সুন্দর চেহারার এ মেয়েটির প্রেমে পড়লাম কয়েকদিনের মধ্যেই। সে-ও আমাকে পছন্দ করতো। একপর্যায়ে তাকে বিয়েও করে ফেললাম। এরপর আমার সমস্ত মনোযোগ ঢেলে দিলাম তার প্রতি। এক ঘণ্টার জায়গায় সাত ঘণ্টা পড়াতাম। এক সাবজেক্টের পরিবর্তে ১১ সাবজেক্ট পড়াতাম। সে ছাত্রী হিসেবে ভালো ছিলো না। কিন্তু আমার কারণে এসএসসিতে ভালো করে ভর্তি হলো খুব ভালো একটা কলেজে। ইতোমধ্যে আমাদের বিয়ের কথা আমার পরিবার জেনে গেলে ও তারা মেনে নিলো। তার মোবাইল খরচ থেকে শুরু করে ড্রেস, কোচিং, বইখাতা ইত্যাদি বাবদ প্রায়ই টাকা দিতাম। সব মিলে তার জন্যে প্রায় দুলক্ষ টাকা খরচ করেছি।
এর মধ্যেই জানতে পারলাম, সে আরেকটি সন্ত্রাসী টাইপের ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়েছে। আমার দেয়া টাকায় তার সাথে কথা বলে, তাকে উপহার দেয়, ঘোরাঘুরি করে। এমনকি তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। শুনে আমার তো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। কঠিন অসুখে পড়লাম। আমার বাবা স্ট্রোক করে মারা গেলেন। কয়েকদিনের জন্যে আমাদের পুরো পরিবারটার ওপর একটা ঝড় বয়ে গেল।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড