প্রশ্নঃ দারুণ অর্থকষ্টে আছি। ঋণ শোধ করতে পারছি না। আমার ভাইয়ের লন্ডনের ব্যবসায়ও ধস নেমেছে। কীভাবে এ থেকে মুক্ত হবো?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে আপনার বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করতে হবে যে, এখন আমার অবস্থানটা কী এবং এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি কী করতে পারি। যেকোনো বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্যে অনেকগুলো উপায় থাকতে পারে; কোনটা আপনি গ্রহণ করবেন, সেটা নির্ভর করবে আপনার বিবেচনার ওপর। অর্থাৎ সিদ্ধান্তটা আপনার হাতে। যখন আপনি মাথা ঠান্ডা রাখতে পারবেন, তখন জবাব আপনার মনই আপনাকে বলে দেবে। আসলে আমরা অস্থির হই কেন? ভেতরের কষ্টের কারণে। যখন টাকা থাকে না,
নিজের চলতে কষ্ট হয়, পরিবারে অশান্তি হয় তখন অস্থিরতাটা বেড়ে যায়। আর যদি ঋণ থেকে থাকে তাহলে তো কথাই নেই-আপনার দিনের ঘুম, রাতের ঘুম সব হারাম হয়ে যাবে! যেরকম গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারা-যারা ঋণ পরিশোধ করতে পারে না তাদের কী হয়? এটা ড. সৈয়দ শফিউল্লাহ তার ‘স্বপ্ন ও সচেতনতা’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন। কয়েকটা লাইন হচ্ছে এরকম-‘…এদের মধ্যে গ্রুপনেতা [যিনি সবচেয়ে বেশি দুঃস্বপ্ন দেখেন] দেখেন যে, তার ওপরওয়ালা অর্থাৎ ম্যানেজার তাকে ঋণ আদায়ের জন্যে সার্বক্ষণিক তাগাদা দিচ্ছেন। আরেকজন সদস্য স্বপ্ন দেখেন, ঋণ সময়মতো শোধ করতে না পারায় গ্রুপের অন্য সদস্যরা তার ঘরের টিন, বাঁশ, কাঠ ইত্যাদি জোর করে নিয়ে গেছে।’ অর্থাৎ ঋণ আপনার মানসিক শান্তিকে পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। এজন্যে এই অস্থির অবস্থায় মানুষ যে সিদ্ধান্তই নেয় সেটা ভুল হয়। অতএব মাথাটাকে ঠান্ডা করুন, ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। এজন্যে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি একটা নিয়ত নিয়ে টানা ৪০ দিন মেডিটেশন করেন। দেখবেন, আপনার কী করণীয়-এটা কাউকে বলে দিতে হবে না, মন থেকেই আপনি সিদ্ধান্ত পেয়ে যাবেন।
সুত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড
Related Posts
Q&A Series – Episode 292: Failure is the pillar of success!
Q&A Series – Episode 291: What exactly is visualization?
Q&A Series – Episode 290: How does visualization work?