প্রশ্নঃ কথা বলার ক্ষেত্রে প্রমিত ভাষার ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে কৃত্রিম মনে হয়। সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষায় মনে হয় এই কৃত্রিমতা নেই। তাহলে কোন ভাষায় কথা বলা উচিত?
উত্তরঃ সবসময় শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা উচিত। আঞ্চলিক ভাষাকে অকৃত্রিম মনে হতে পারে, কিন্তু যারা তা বোঝেন না, তাদের কাছে এটি কিছু দুর্বোধ্য ধ্বনি ও শব্দের উচ্চারণ ছাড়া আর কিছু নয়।
যেমন, ধরা যাক তিনজন লোক, যাদের মধ্যে দুজন চট্টগ্রামের, একজন ঢাকার বা অন্য কোনো অঞ্চলের। এখন চট্টগ্রামের দুজন লোক যখন তাদের আঞ্চলিক ভাষায় গল্প করছে, তৃতীয় লোকটি যে সে ভাষা বোঝে না, তার কাছে এটা অকৃত্রিম বা আন্তরিকতাপূর্ণ তো নয়ই বরং মনে হবে তাকে অপাংক্তেয় করে ফেলা হয়েছে এবং দুজন মিলে এমন কিছু বলছে যা তার সমালোচনা বা যা তাকে তারা শোনাতে চায় না।
আর আন্তরিকতা ভাষার উচ্চারণ বা প্রয়োগে থাকে না, আন্তরিকতা থাকে মনে। আন্তরিকতার প্রকাশ শুদ্ধ, প্রমিত ভাষার ব্যবহারেই সার্বজনীনভাবে করা যায়। কারণ আমি যে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছি সেটা আমার অঞ্চলের লোকদের জন্যে আনন্দদায়ক। কিন্তু অন্য অঞ্চলের লোকদের জন্যে আনন্দদায়ক না-ও হতে পারে। কারণ বলা হয়ে থাকে যে, এক দেশের বুলি আরেক দেশের গালি। কাজেই আন্তরিকভাবে শুদ্ধ ভাষায়, প্রমিত উচ্চারণে কথা বলাটাই মানুষকে আকৃষ্ট করার এবং প্রভাবিত করার উপায়।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড