
প্রশ্নঃ হিন্দু পরিবারে বাপের সম্পত্তি মেয়েরা কিছুই পায় না। অসহায় অবস্থায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। বাপের বাড়ি পরের বাড়ি কেন? কেন অন্য ধর্মাবলম্বীদের মতো আমাদের জন্যে আইনের ব্যবস্থা নেই?
উত্তরঃ আসলে বাবার বাড়ি যেমন ছেলের বাড়ি, তেমন মেয়েরও বাড়ি। বিয়ের পরে মেয়ে পর হয়ে যাবে, এটা একটা ভুল ধারণা। এটা একটা অবিদ্যা এবং কুসংস্কার। এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আর এই অবিদ্যা কুসংস্কার মুক্ত করার জন্যেই আমাদের কোয়ান্টাম চেতনা। আমরা সেই চেতনাকেই জাগ্রত করার চেষ্টা করছি।
বাবার বাড়ি, বাবার পরিচয় সবসময় থাকবে। বিয়ের আগে যেমন থাকে, বিয়ের পরেও থাকবে। রসুলুল্লাহ (স) কিন্তু সেই অধিকার ১৪ শ বছর আগে মহিলাদের দিয়ে গেছেন। যে কারণে তার স্ত্রীদের নামের সাথে স্বামীর নাম-পদবি যুক্ত হয় নি। অর্থাৎ তারা তাদের কুমারী নামেই আমৃত্যু পরিচিত ছিলেন। দেখুন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা) বলা হয়। হযরত আয়েশা মুহাম্মদ বলা হয় না। কেন? নবীজী (স) এই পরিচয়টাকে সম্মান করতেন। নবীজী (স) আমাদেরকে এই সম্মান করতে শিখিয়ে গেছেন। এজন্যে আমাদেরও এই সম্মান করা উচিত।
আপনি যেহেতু সনাতন পরিবার থেকে এসেছেন, আপনার অধিকারের কথা আপনাকেই বলতে হবে। সনাতন ধর্মে অনেক কিছুই সংস্কার হয়েছে। যেমন, বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে বিধবা বিবাহ। ন্যায্য অধিকারের পক্ষে জনমত গড়ে উঠলে অনেক কিছুই সংস্কার হতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড