Business Care News

Business News That Matters

sillluethe, women, hijab

প্রশ্নোত্তর সিরিজ – পর্ব ২০৪: বিয়ে, নারী স্বাধীনতা এবং ইসলাম

প্রশ্নঃ আপনি বলেছেন যে, নবীজী (স) বিয়ের ব্যাপারে নারীদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু আমাকে আমার পরিবার জোর করে বিয়ে দিতে চায়। আমি এখনই বিয়ে করতে চাই না। তাদেরকে অনেক বুঝিয়েছি, তারা আমার কোনো কথা শোনে না। এ অবস্থা থেকে আমি কীভাবে রক্ষা পেতে পারি?


উত্তরঃ আসলে বিয়ে করাটা তো প্রত্যেক নর-নারীর নিজস্ব অধিকার। আর বিয়ে করতে না চাইলে মা-বাবা জোর করে বিয়ে দিতে পারে না। এখন আর সে জামানা নেই।

মা-বাবা হয়তো বলেন যে, জোর করে বিয়ে দেবো। কিন্তু মা-বাবাদের এত বোকা মনে করা উচিত না যে, তারা জোর করে বিয়ে দেবেন। এটা হচ্ছে একটা মানসিক চাপ, যেন সন্তান বিয়েতে রাজি হয়। আর এখন আমাদের দেশে নারী অধিকার রক্ষার জন্যে অনেক রকম ব্যবস্থা আছে। অতএব ঘাবড়ে যাবেন না। মা-বাবাকে বোঝান কেন আপনি এখনই বিয়ে করতে চান না। কারণটা যদি যুক্তিযুক্ত হয়, তাহলে মা-বাবা বুঝবেন।

আর কারণ যদি এটা হয় যে, সহপাঠী একজনের প্রতি দুর্বলতা আছে, তাকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যে সময় দেয়া দরকার, তারপর বিয়ে করবেন। মা-বাবা তো এটাতে রাজি হবেন না এবং কোনো মা-বাবারই রাজি হওয়া উচিত নয়। কারণ একটা ছেলে ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু একটা মেয়েকে যদি সহপাঠীর প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় তাহলে নিশ্চয়তা কী যে, বয়স ৪০ বছর হতে হতে সে অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাবে না। তখন ভোগান্তিটা তো মা-বাবারই হবে। অতএব কেন বিয়ে করব না-এটা নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে হবে এবং সেটার অবশ্যই খুব যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে হবে। আরেকজনকে পছন্দ করি বলে আমি এখন বিয়ে করব না এটা এদিকে যেমন অযৌক্তিক তেমনি অনিশ্চিত।

এমন ঘটনাও আছে-মেয়ে নিজের পয়সা দিয়ে ছেলেকে পড়িয়েছে, অপেক্ষা করেছে। তারপর যেই পড়াশোনা করে ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে, ভালো রেজাল্ট হয়েছে-আরেক মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছে। অতএব এরকম বোকামি করবেন না। যদি কোনো সত্যিকারের কারণ থাকে যে, আমি এখন পড়াশোনা করছি, নিজের পরিচয় সৃষ্টি করতে চাই-সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু কোনো ছেলের জন্যে অপেক্ষা করে বিয়েতে দেরি করবেন না।

তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড

Skip to content