Business Care News

Business News That Matters

Exports

ছবি: সংগ্রহীত

জুলাই-মে ২০২২-২৩১১ মাসে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি

চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার ৮০০ কোটি বা ৫৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রফতানি হয়েছে ৫ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য। এ হিসাবে ১২ মাসের লক্ষ্য পূরণে চলতি জুনে পণ্য রফতানি করতে হবে ৭৪৭ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার ডলারের।

entrepreneurship-training-program-banner

চলতি অর্থবছরের ১১ মাস (জুলাই-মে) বিশ্ববাজারে পণ্য রফতানির লক্ষ্য ছিল ৫ হাজার ২৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। এর বিপরীতে রফতানি হয়েছে ৫ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে লক্ষ্যের চেয়ে ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম অর্থমূল্যের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসে পণ্য রফতানি হয়েছিল ৪ হাজার ৭১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলারের। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে পণ্য রফতানি বেশি হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত রফতানি পরিসংখ্যান হালনাগাদ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। গতকাল প্রকাশ পেয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসের প্রতিবেদনের সংস্করণ। এতে দেখা গেছে, ১১ মাসে প্রধান পাঁচ পণ্যের তিনটিই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে।

অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ পাঁচ পণ্য হলো পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোমটেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য ও কৃষিপণ্য। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে দেশের মোট রফতানির ৯১ দশমিক ৮ শতাংশ জুড়েই ছিল এ পাঁচ পণ্য। ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে পোশাকের রফতানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। হোমটেক্সটাইল পণ্যের রফতানি কমেছে ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমেছে বা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং কৃষিপণ্যের রফতানি কমেছে ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রফতানি পণ্য পোশাক। মোট রফতানির ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশই তৈরি পোশাক। আলোচ্য সময়ে বিশ্ববাজারে ৪ হাজার ২৬৩ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৮৫২ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

১১ মাসের হিসাবে প্রবৃদ্ধির চিত্র ইতিবাচক। মাসভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণেও ইতিবাচক পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, সমাপ্ত মে মাসে ৪৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। গত বছরের মে মাসে পণ্য রফতানি হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ২ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। এ হিসাবে এপ্রিলে রফতানি বেড়েছে বা প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।

২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে মোট পোশাক রফতানি ৪ হাজার ২৬৩ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিটওয়্যার রফতানি ২ হাজার ৩২৭ কোটি ৮১ লাখ ১০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। ওভেন পোশাক রফতানি হয়েছে ১ হাজার ৯৩৫ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের। নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাক রফতানিতে ১০ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৯২ ও ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

Skip to content