Business Care News

Business News That Matters

circuit board, background, microchip

সার্কিট বোর্ড আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি

আমদানি করা হচ্ছে প্রসেসর যুক্ত অবস্থায় প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড। অথচ পণ্যটি ঘোষণা দেওয়া হয় সিঙ্গেল ফেজ বৈদ্যুতিক মিটারের পার্টস হিসেবে। এতে সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারের এই হারানো রাজস্বের পরিমাণ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে কাস্টমস ওয়াকিবহাল থাকলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

জানা গেছে, চিপস/প্রসেসর সংযুক্ত অবস্থায় প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড এসেনশিয়াল ক্যারেক্টার হওয়ার পরও চীন থেকে পণ্যটি মিথ্যা ঘোষণায় সিঙ্গেল ফেজ বৈদ্যুতিক মিটারের পার্টস হিসেবে আমদানি এবং সংযোজন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এনিয়ে সম্প্রতি চট্টগ্রাম কাস্টমসে একটি সভাও হয়। সভায় প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের সঙ্গে চিপস/প্রসেসর সংযুক্ত অবস্থায় থাকলে সেটাকে এসেনশিয়াল ক্যারেক্টার হিসেবে বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরও চট্টগ্রাম, মোংলা, আইসিডি কমলাপুর, ঢাকা কাস্টমস দিয়ে বৈদ্যুতিক মিটারের পার্টস হিসেবে আমদানি করা হচ্ছে, যার এইচএস কোড ৯০২৮.৯০.১০। এই এইচএস কোডের বিপরীতে আমদানি শুল্কের পরিমাণ ৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড এসেনশিয়াল ক্যারেক্টার হওয়ায় এর আমদানি শুল্কের পরিমাণ ৫৮ দশমিক ৬০ শতাংশ হওয়ার কথা।

জানা গেছে, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডের আনুমানিক ওজন ৩০ গ্রাম। ৭ ডলার ট্যারিফ রেট ধরে হিসাব করলে আনুমানিক মূল্য দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ২১ ডলার। সে হিসাবে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য শূন্য দশমিক শূন্য ৯ ডলার।

অন্যদিকে সিঙ্গেল ফেজ বৈদ্যুতিক মিটারের পার্টসের ট্যারিফ মূল্য ১২ ডলার। সে হিসাবে শুল্কায়নযোগ্য মূল্য দাঁড়ায় ৭ ডলার। প্রতি ডলারের মূল্য ১১০ টাকা ধরে হিসাব করলে দুই ক্ষেত্রে শুল্ক পার্থক্য দাঁড়ায় ৭৬৩ টাকা। ২০ লাখ পিস আমদানি করলে রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভাবে কোম্পানিগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনৈতিক সুবিধা পেলে একদিকে রাজস্ব হারাবে সরকার, অন্যদিকে সৎভাবে ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে। তাই এ বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

Skip to content