টেকসই সামাজিক দায়বদ্ধতার স্বীকৃতিস্বরূপ ছয়টি কোম্পানি ও তিনজন তরুণকে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ দেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানে শিক্ষা, সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা, পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিষয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেয়া হয়। সিএসআর উইন্ডোর সহযোগিতায় এ পুরস্কারের আয়োজন করে ডেইলি স্টার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। প্লাস্টিক সার্কুলারিটি ফর এ সাসটেইনেবল বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য পরিবেশ বিভাগে পুরস্কার জিতেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। বাটা চিলড্রেনস প্রোগ্রাম শীর্ষক প্রকল্পের জন্য শিক্ষা বিভাগে সম্মাননা পায় বাটা সু কোম্পানি। স্বাস্থ্য ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে সম্মাননা পেয়েছে লাফার্জহোলসিম ও শান্তা হোল্ডিং। ছাতক সম্প্রদায়ের সমন্বিত সহায়তা কমিউনিটি এনগেজমেন্টের জন্য লাফার্জহোলসিম এবং আশুলিয়া মহিলা ও শিশু হাসপাতালের জন্য শান্তা হোল্ডিংস এ সম্মাননা পায়।
অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেয়েছে গ্রামীণফোন। জিপি এক্সিলারেট এবং জিপি একাডেমি শীর্ষক প্রকল্পের জন্য এ পুরস্কার পায় কোম্পানিটি। মাইবিএল সুপার অ্যাপের জন্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায় বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন।
ইয়াং হিউম্যানিটারিয়ান অব দ্য ইয়ার ক্যাটাগরিতে তিন তরুণকে সম্মাননা দেয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন ভালো কাজের হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুর রহমান শিহাব, ট্রান্সইন্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও লামিয়া তানজিম তানহা এবং মজার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ান আরিফ।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে বলেন, ‘টেকসই এবং স্থায়িত্ব এসডিজির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজে টেকসই এবং স্থায়িত্বের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।’
দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘টেকসই শব্দটিকে বেঁচে থাকার শব্দের সঙ্গে তুলনা করা উচিত। আমরা যখন টেকসই হওয়ার কথা বলি, আমরা আসলে আমাদের বেঁচে থাকার কথা বলি। আমরা গ্রহের স্থায়িত্ব নিয়ে কথা বলছি, এ স্থায়িত্ব আমাদের জীবন বাঁচায়।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় নদীতীরগুলোয় শহর গড়ে উঠছে। ঢাকার ক্ষেত্রেও যদি বিবেচনা করি, নদীতীরে হওয়ার কারণে ক্রমাগত নদীর পানি দূষিত হয়ে চলছে। এসব রক্ষার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে, কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেহজাদ মুনিম এক প্যানেল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ইএসজি (পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসনে বিনিয়োগকারী) খাতের বিনিয়োগকারীরা ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে পরিচালিত করছে এবং কর্মীদের ব্যস্ততা বাড়াচ্ছে। এ সময় আরো বক্তব্য দেন ইউনিলিভারের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের পরিচালক শামীমা আক্তার, বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) এরিক অস প্রমুখ।