Business Care News

News That Matters

EPB_BD, logo

সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়াল রপ্তানি আয়

বিদায়ি ২০২২-২৩ অর্থবছর বিশ্ববাজারে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ সালে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৫ হাজার ২২৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৪৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এক অর্থবছরে সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। যদিও বিদায়ি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সেই লক্ষ্যের চেয়ে রপ্তানি কম হয়েছে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ বা ২৪৪ কোটি ডলার।

ETP - web ads

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল সোমবার রপ্তানি আয়ের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, শুধু গত জুনে ৫০৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জুনের তুলনায় এই রপ্তানি ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি। গেল বছর জুড়েই ডলার সংকটের কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। আর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মূল দুই উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ও পণ্য রপ্তানি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুটি উৎস থেকেই গত বছরের শেষ দিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসা কিছুটা কমে যায়। তবে পরে আবার তা ঘুরেও দাঁড়ায়। ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিদায়ি অর্থবছরে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতার রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, সদ্য বিদায়ি অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি হয়েছে ১২২ কোটি ডলারের। এক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে পৌনে ২ শতাংশ। এছাড়া ফুটওয়্যারে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, ম্যান মেইড ফাইবারে ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে পাটজাত পণ্যে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ, কৃষি পণ্যে ২৭ দশমিক ৪৭ ও হিমায়িত মাছে ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

Skip to content