স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম স্কেলে থাইল্যান্ডের অবস্থান ৫২তম
স্ট্যার্টআপ শিল্পে এগিয়ে সিঙ্গাপুর। সরকারি সমর্থন, বিনিয়োগ ও তহবিল সংগ্রহ, পরামর্শ প্রদান ও নীতিকাঠামোর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে দেশটি। সিঙ্গাপুরের পদাঙ্ক অনুকরণ করে থাইল্যান্ডের সরকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ও বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছে।
করমুক্ত মূলধন—এ নীতির অধীনে থাই সরকার কর প্রণোদনা কার্যক্রম চালু করেছে, যা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম ও অন্যান্য বিনিয়োগকারীকে স্টার্টআপ শেয়ার বিক্রির লাভের ওপর কর অব্যাহতি দেয়। খবর নিকেই এশিয়া।
২০২২ সালের পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, আবাসন, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মে মাসে বছরওয়ারি দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। একই সময়ে দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে খাদ্য ও পানীয়ের দাম। জুনে থাইল্যান্ডে অপারেটিং কোম্পানিগুলোর জন্য কর প্রণোদনা প্রণয়ন করা হয়। প্রণোদনাটি ১২টি সেক্টরকে কর সুবিধা দেয়, যার মধ্যে রয়েছে নেক্সট জেনারেশন অটোমোটিভ টেকনোলজি, স্মার্ট ইলেকট্রনিকস ও বায়োটেকনোলজি।
কয়েক দশক আগে শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ তৈরিতে সিঙ্গাপুরের একটি সফল ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। ১৯৯০-এর দশকে সেখানে সরকারি ও বেসরকারি খাতগুলো সিলিকন ভ্যালির মতো ব্যবসার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে একত্রিত হয়েছিল। কয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে মূলধন লাভের ওপর কোনো করারোপ করা হয়নি।
ইসরায়েলি মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম স্টার্টআপব্লিংক থেকে প্রকাশিত চলতি বছরের বৈশ্বিক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম সূচক অনুসারে সিঙ্গাপুর এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতি ও বিশ্বব্যাপী ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। চীনের অবস্থান ১২তম ও জাপান ১৮তম। সিঙ্গাপুরকে এশিয়ার শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে গেছে তুলনামূলক কম দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মুক্ত ও ইংরেজি দক্ষতা। সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়িক পরিবেশকে তুলনা করা হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম স্কেলে থাইল্যান্ডের অবস্থান ৫২তম। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া যথাক্রমে ৪১ ও ৪৩তম। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় থাইল্যান্ড স্টার্টআপ শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, প্রচেষ্টাগুলো এখনো কোনো ফলাফল বয়ে আনেনি।
থাইল্যান্ডের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে প্রভাবিত করে, এমন ১৩টি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে জাপানের ডেলয়েট তোমাসু গ্রুপ। যার মধ্যে রয়েছে অলিগোপলির (সীমিত প্রতিযোগিতার বাজার, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা কম) উপস্থিতি ও বিনিয়োগকারীদের ঘাটতি। তবে করমুক্ত মূলধন স্টার্টআপ শিল্পে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে শুরু করেছে। আর্থিক খবরের ওয়েবসাইট ডিলস্ট্রিট এশিয়ার মতে, থাই স্টার্টআপগুলো প্রথম প্রান্তিকে ৫৩ কোটি ডলার সংগ্রহ করেছে। মহামারীর আগে ২০১৯ সালের তুলনায় যা বেশি। মার্চে ইন্স্যুরেন্স টেক স্টার্টআপ রুজাই জার্মান ইন্স্যুরেন্স গ্রুপ এইচডিআই ইন্টারন্যাশনালের নেতৃত্বে একটি ফান্ডিং রাউন্ডে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে। ব্যাংক অব আয়ুধ্যা সেপ্টেম্বর নাগাদ ১ বিলিয়ন বাথ বা ২ কোটি ৮৭ লাখ ডলার পরিমাণ স্টার্টআপ ফান্ড চালুর পরিকল্পনা করেছে। ঋণদাতা হচ্ছে জাপানের মিতসুবিশি ইউএফজে ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এ তহবিলের মূল উদ্দেশ্য হলো থাই স্টার্টআপগুলোর জন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করা, বলেছেন আয়ুধ্যার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আর্মের প্রধান স্যাম তানস্কুল।