
ছবি: সংগ্রহীত
গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে উঠছে বিনিয়োগের কেন্দ্র। সরকারি বিনিয়োগে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খাতটি সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। বৈশ্বিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যের ৬০ শতাংশ মানুষ গেমিংয়ে উৎসাহী। মোবাইলে গেমিং অ্যাপ ডাউনলোডের গড় হার বৈশ্বিকভাবে ৪০ শতাংশ হলেও মধ্যপ্রাচ্যে ৫০ শতাংশ। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
২০২২ সালে সৌদি আরব পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (পিআইএফ) মাধ্যমে গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে। আবুধাবিতে একটি গেমস ও ই-স্পোর্টস হাব তৈরি করা হয়েছে। বিসিজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলেকজান্ডার শুডে বলেন, ‘গেমিংয়ের ওপর এ অঞ্চলের আগ্রহের পাশাপাশি গেমিং হাব স্থাপিত হওয়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে উঠবে বিশ্বব্যাপী গেমিং কোম্পানিগুলোর গন্তব্য।
মধ্যপ্রাচ্যের তরুণ ও প্রযুক্তিসচেতন মানুষ সাধারণত অমিতব্যয়ী। গরম আবহাওয়ার কারণে বাসায় থাকতেই পছন্দ করে। গেম জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে এ বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ জনসংখ্যাই ৩০ বছরের কম বয়সী। মধ্যপ্রাচ্যে গেমিংয়ে আগ্রহী মানুষের জনসংখ্যা বাড়ছে চক্রবৃদ্ধি হারে, যা ২০২৫ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। সে তুলনায় চীনে গেমিংয়ে আগ্রহী জনসংখ্যা মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ।
মোবাইল এবং কম্পিউটার গেমের প্রতি এ অঞ্চলের ঝোঁক এখানের গেমিং ইন্ডাস্ট্রিকে প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা তুলে ধরে। গেমিং ইন্ডাস্ট্রি বেড়ে উঠছে জনসংখ্যার সঙ্গে তাল রেখেই। ভিডিও গেম খেলে বড় হওয়া ওয়াই প্রজন্মের বয়স প্রবেশ করছে ৩০-এর ঘরে। বর্তমানে গেম খেলোয়াড়দের গড় বয়সও ৩১ বছর।
গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে বর্তমানে কোম্পানিগুলোর একত্রীকরণের একটি জোয়ার চলছে সম্প্রতি। ২০২২ সালের প্রথমার্ধেই এমন ৬৫০টি কোম্পানির একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের ঘটনা ঘটেছে। মধ্যপ্রাচ্য যেন বিশ্বের দরবারে আবির্ভূত হচ্ছে গেমের পাওয়ার হাউস হিসেবে। উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং দর্শকের সম্পৃক্ত থাকার প্রত্যয় বিশ্বব্যাপী গেমিং শিল্পের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।