প্রশ্নঃ বিয়ের মতো পবিত্র সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যদি প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয় তাহলে কী করে হবে?
উত্তরঃ আসলে বিয়েতে প্রতারণা হতে পারে। হতে পারে বিয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা। একটি ছেলের ঘটনা—
‘পারিবারিকভাবে একটি মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর মেয়েটিই বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বিয়ে ভেঙে যায়। তারও এক বছর পর আবার তাদের আগ্রহেই বিয়ে হয়। কিন্তু তারপরই শ্বশুরপক্ষের আচরণ বদলাতে থাকে। আমার স্ত্রীর দাবি—আলাদা বাসা নিতে হবে, বাচ্চা নেয়া যাবে না ইত্যাদি। কিন্তু এর মধ্যে ওর প্রেগনেন্সি রিপোর্ট পজিটিভ হলে ও আমাদের বাসা থেকে সমস্ত গয়নাগাটি নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভপাত ঘটায়।
কিন্তু আমাকে বলে, স্বাভাবিকভাবেই তা হয়েছে। কিন্তু ইনফেকশনের কারণে আবার হাসপাতালে ভর্তি হলে রিপোর্ট পড়ে আমি সব বুঝতে পারি। সবচেয়ে অবাক হই কাবিননামা পড়ে। বিশেষ একটি শর্ত ছিল তাতে—‘বিবির মনোনীত বাসস্থানে বর থাকিতে বাধ্য থাকিবে।’ সেইসাথে ১২ লাখ টাকার কাবিনে উসুল দেখানো আছে দুই লাখ টাকা। অথচ হওয়ার কথা সাত লাখ টাকা—যে মূল্যমানের স্বর্ণালংকার সে নিয়েই গেছে। এ বিয়েটা যে ব্যবসার বিয়ে তা পুরোপুরি নিশ্চিত হই যখন আমার স্ত্রী সাড়ে ১০ লাখ টাকা কাবিনের জন্যে মামলা দায়ের করে। সে টাকাটা এখন আইনত আমাকে পরিশোধ করতেই হবে। বিয়ে আমাকে আর্থিকভাবে নিঃস্ব করে দিয়েছে। অবিবাহিত ছেলেদের প্রতি অনুরোধ, আপনার বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষরের আগে বিস্তারিত পড়ে দেখবেন। নইলে আমার মতো ঠকতে হতে পারে’।
অতএব বুঝতেই পারছেন, আবেগ বলুন আর পবিত্র সম্পর্ক বলুন, বাস্তবতাকে মাথায় রাখবেন। কোথায়, কেন, কীভাবে স্বাক্ষর করছেন তা ভালোভাবে বুঝে নেবেন।
সুত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড
Related Posts
Q&A Series – Episode 292: Failure is the pillar of success!
Q&A Series – Episode 291: What exactly is visualization?
Q&A Series – Episode 290: How does visualization work?