প্রশ্নঃ আমি এমবিএ করেছি। বিয়ের জন্যে পাত্রীর কোন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবো? পরামর্শ দেবেন দয়া করে।
উত্তরঃ যদি ভাবেন, বউ উপার্জন করবে আর আমি হাউজ-হাজবেন্ড হয়ে বাসা সামলাব, তাহলে অর্থনৈতিক অবস্থাকে গুরুত্ব দেবেন। এমন মেয়ে বিয়ে করবেন, যে বাইরে উপার্জনের কাজে এত বেশি ব্যস্ত যে, বাসায় আর কিছু করার সুযোগ তার নেই। সে দায়িত্বটা তখন আপনি নেবেন।
যদি আপনি মনে করেন দুজনের উপার্জনে সংসার চলবে, যাকে শ্রদ্ধা করতে পারবেন অর্থাৎ যার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গুণ আছে, যাকে আপনি দায়িত্বশীল মনে করবেন, তাকে বিয়ে করবেন। আর যদি আপনি চান আপনার বউ ঘর সামলাবে, তাহলে ঘরোয়া মেয়ে, যার চাকরি-বাকরি করার ইচ্ছা নাই-সে-রকম মেয়ে বিয়ে করবেন। এ তো গেল স্ত্রীর ব্যাপারে আপনি কী চান- সেটার দৃষ্টিভঙ্গি। আর এর পাশাপাশি সবসময় বিয়ের ক্ষেত্রে সম-সামাজিক, সম-আর্থিক ও সম-সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে বেছে নেবেন। ধরুন, আপনার চাকরিজীবী পরিবার, আপনি যদি ব্যবসায়ী পরিবারে বিয়ে করেন তাহলে আপনার মানিয়ে চলতে সমস্যা হতে পারে। কারণ আপনি আপনার স্ত্রীকে সেভাবে কেনাকাটা করে দিতে পারবেন না, ব্যবসায়ী পরিবারে সে যা পেয়ে এসেছে। তখন অশান্তি হবে।
বাস্তবজীবন অনেক কঠিন। আর একজন মানুষ যে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হয়, সেখান থেকে তার বেরিয়ে আসা কঠিন। একই কথা প্রযোজ্য সাংস্কৃতিক সমতার ক্ষেত্রেও। যেমন, আপনি রক্ষণশীল পরিবারের লোক, কিন্তু বিয়ে করে ফেললেন একজন সঙ্গীতশিল্পীকে। দুজনেই ভালোমানুষ, কিন্তু সংসারে শান্তি থাকবে না- সারাক্ষণ কাটাকাটি, মারামারি।
আর বিয়ের ক্ষেত্রে মনে রাখবেন, শুধু চেহারা দেখে, কথা শুনে বা রূপ দেখেই মুগ্ধ হয়ে যাবেন না। তাহলে আপনাকে পস্তাতে হবে। কারণ যারা সুন্দরী, তার সৌন্দর্যের অহংকার মেটানোর জন্যে আপনাকে আরো ওপরে উঠতে হবে। অতএব চেহারা দেখে নয়, সবসময় গুণ দেখে বিয়ে করবেন- সে ভালো মানুষ কিনা।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড