Business Care News

Business News That Matters

yellow cube on brown pavement

Photo by Pixabay on Pexels.com

প্রশ্নোত্তর সিরিজ – পর্ব ২১৭: মুড-নির্ভর আচরণ একটি প্রতিকূলতা

প্রশ্নঃ আমার মুড ভালো থাকলে আমি অনেক কাজ ও ডিজাইন করতে পারি। কিন্তু মুড ভালো না থাকলে মাথায় কিছু আসে না। আবার আশেপাশে কেউ থাকলেও কাজে মন বসাতে পারি না। আমার এই মেজাজ-নির্ভর আচরণ একটি প্রতিকূলতা।


উত্তরঃ যে কাজটা আর্থিক লাভের জন্যে বা পার্থিব লাভের জন্যে করা হয় সেটাই মুডনির্ভর। কারণ সেটা জীবনের লক্ষ্য নয়, মিশন নয়। কাজটা করছি, আমার কিছু লাভ হচ্ছে, খ্যাতি হচ্ছে ব্যস। সেটা সৃজনশীল কাজ হতে পারে বা হতে পারে রুটিন ওয়ার্ক।

আসলে যে কাজ মুডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠে, সেই কাজে আনন্দ বেশিক্ষণ ধরে রাখা যায় না। আর কাজটা কেন করছেন এটা যদি আপনার কাছে পরিষ্কার থাকে তাহলে আপনি কখনো মুড দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। যেমন, মহামানবরা কখনো মুড দ্বারা প্রভাবিত হন নি। কিন্তু খ্যাতিমান যারা শিল্পী-সাহিত্যিক—অনেকেই ছিলেন যারা হতাশায় ভুগতেন। যেমন, আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘ওল্ড ম্যান এন্ড দা সি’ আশাবাদের কত চমৎকার এক উপন্যাস। কিন্তু সেই হেমিংওয়েই আত্মহত্যা করেছেন। লেবাননের বিখ্যাত লেখক কাহলিল জিবরান ডিপ্রেশনের রোগী ছিলেন। তারা সৃজনশীল ছিলেন। কিন্তু নিজের মনের ওপর, মুডের ওপর কীভাবে নিয়ন্ত্রণ আনা যায় তা তাদের জানা ছিল না। কাজেই ‘মুড ভালো না থাকলে মাথায় কিছু আসে না বা কাজে মন বসে না’—এ জাতীয় ভাবনা ঝেড়ে ফেলুন। নিয়মিত সুখী জীবনের মেডিটেশন করুন, আত্মজাগরণের অটোসাজেশনগুলো শুনুন। মুড ভালো হয়ে যাবে।

তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড

Skip to content