Business Care News

News That Matters

bank, money, finance

প্রশ্নোত্তর সিরিজ – পর্ব ৩৭ঃ ট্রেডিশনাল ব্যাংক vs. ইসলামিক ব্যাংক

প্রশ্নঃ আমরা টাকা রাখার জন্যে দুধরনের ব্যাংক পাই। একটি ট্রেডিশনাল ব্যাংক অন্যটি ইসলামিক ব্যাংক। ট্রেডিশনাল ব্যাংক বলছে, তারা আমাদের সুদ দিচ্ছে এত পার্সেন্ট। আর অন্যদিকে ইসলামি ব্যাংক বলছে, ওরা আমাদের মুনাফা দিচ্ছে। সুদ ইসলামে হারাম। এখন ট্রেডিশনাল ব্যাংকে টাকা রাখা যাবে, নাকি ইসলামি ব্যাংকে টাকা রাখলে তা সুদ হবে না। আমরা এখন কোনটি করব? আমরা সুদবিহীন জীবনযাপন করতে চাই।


উত্তরঃ বর্তমানে সুদবিহীন জীবনযাপন করা সম্ভব না। কারণ সারা পৃথিবীর অর্থব্যবস্থা এখন সুদনির্ভর। বাস্তবতা হচ্ছে, খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রত্যেকটা জিনিস যা ইম্পোর্ট বা এক্সপোর্ট করা হচ্ছে, প্রত্যেকটাই ব্যাংকের মাধ্যমে হচ্ছে এবং প্রত্যেকটার জন্যে এলসি খোলা হচ্ছে। অতএব প্রত্যেকটার মধ্যে সুদ রয়েছে। আর এখন ইসলামিক ব্যাংক বলে যেগুলো চলছে সেগুলোও একই। আমি সুদকে সুদ না বলে যদি মুনাফা বলি, তাহলে যা হয়, তাই। দুটোই একই জিনিস। কারণ ইসলামিক ব্যাংককেও তার মূলধনের একটা অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখতে হয়। তারাও তো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সুদ গ্রহণ করছে আর সেই সুদ তো এই টাকার মধ্যেও যুক্ত হচ্ছে।

ইসলামিক ব্যাংক আপনাকে বলছে মুনাফা দিচ্ছি। কিন্তু ব্যবসা তো ভিন্ন জিনিস। ব্যবসাতে লাভ-লস দুটোই শেয়ার করতে হবে। ইসলামি ব্যাংক কি কখনো লস শেয়ার করে? ধরুন আপনি ইসলামি ব্যাংক থেকে তিন কোটি টাকা ঋণ করলেন, আপনাকে ধাপে ধাপে শোধ করতে হবে সাড়ে তিন কোটি টাকা। এই অতিরিক্ত ৫০ লক্ষ টাকা তো সুদই হলো।

অতএব দুই ব্যাংকের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কোনো পার্থক্য নেই। আপনি যেখানেই টাকা রাখেন এই সুদের অংশীদার আপনি হবেন। সুদ আপনি খেতে না চাইলে কোনো অসুবিধা নাই। আপনি যখন মনে করছেন আপনি সুদবিহীন জীবনযাপন করতে চান, যে ব্যাংক থেকে যত মুনাফা হয় আমাদের শিশুকাননে দিয়ে দেবেন। তাদের জন্যে এটা সুদ না, তাদের জন্যে এটা দান হয়ে যাবে।

সুত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড

Skip to content