Business Care News

News That Matters

ai generated, sad, pain

প্রশ্নোত্তর সিরিজ – পর্ব ১৪৫: আমি প্রচণ্ড একাকিত্বে ভুগছি!

প্রশ্নঃ আমার মা-বাবা, নানা-নানি, মামা, আত্মীয়স্বজনের সাথে আমার বড্ড অভিমান হচ্ছে। তারা আমার সাথে প্রচণ্ড খারাপ ব্যবহার করে। মনে হয়, তারা কেউ আমার না। আমি প্রচণ্ড একাকিত্বে ভুগছি। আমার ছোট বোনের ভর্তি পরীক্ষা সামনে। এখন তার খুব পড়াশোনা করা দরকার। এগুলো যদি আমি বলি আমাকে বলা হয়, ওকে যেন ওর মতো থাকতে দেই। ওরা আমাকে গুরুত্ব দেয় না। আমার মন খুব খারাপ থাকে এই কারণে। তারা আমার খোঁজখবর পর্যন্ত রাখে না। গুরুজী, আমি বেঁচে থাকার মানে খুঁজতে চাই। শুধু মা-বাবার অবহেলার কারণে আমি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গেছি। আমি আমার চারপাশে আপন কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। আর চাপ নিতে পারছি না। আমি কী করব?


উত্তরঃ আপনার সমস্যা কিন্তু আপনি নিজেই। কারণ মা-বাবা, নানা-নানি বা মামা অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ এই স্বজন বা পরিজনদের কাউকেই যদি আপনি ‘আপন’ ভাবতে না পারেন, সারাক্ষণই যদি মনে করেন যে তারা আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে, তার মানে জটিলতা আপনার নিজের মধ্যেই। আপনি হয়তো এমন কোনো আচরণ করেন বা কথা বলেন যা তাদের আকৃষ্ট না করে বরং আপনার প্রতি তাদের বিরক্তিকেই উসকে দিচ্ছে।

আসলে সমস্যাটা হচ্ছে, আপনি চান সবাই আপনার মতো চলুক। আপনার কথা শুনুক। আপনাকে গুরুত্ব দিক। কিন্তু গুরুত্ব পাওয়ার জন্যে নিজের যে যোগ্যতা সৃষ্টি করা দরকার, সেই যোগ্যতা আপনি সৃষ্টি করেন নি। যদি করতে পারতেন, যদি ব্রেনটাকে ব্যবহার করতেন, তাহলে সবাই গুরুত্ব দিত। পৃথিবী স্যালুট করে উদীয়মান সূর্যকেই। যদি আপনি ক্লাসে প্রথম হতেন, আপনার মা-বাবা আপনার ছোট বোনকে বলত আপনার মতো চলতে। নিজে সফল না হয়ে আরেকজনকে যদি উপদেশ দেন, সেই উপদেশের তো কোনো মূল্য থাকবে না।

আর নিজের জীবনের এসব ভুলের ঘটকে পুরো করেছেন আবার একটা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে।

আপনি তো জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করতে যাচ্ছেন, যেহেতু আপনি মেয়ে। যে পথে গিয়েছেন এটা পথ নয়, এটা গর্ত। অতএব এই প্রেমরোগ থেকে দূরে থাকবেন। কারণ আপনি তো একটা আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আর খুঁজে বেড়িয়ে কখনো আশ্রয় পাওয়া যায় না।

নিজের আশ্রয়স্থল হতে হয় নিজেকেই। এজন্যে ঘরে বাইরে সবক্ষেত্রে সেবা দেয়ার চিন্তা করুন। নিয়মিত মেডিটেশন করুন। শাখা/ সেলে সাদাকায়নে কোয়ান্টিয়ার হিসেবে কাজ করুন। তাহলে আপনি বুঝবেন পরিবারকে কীভাবে ম্যানেজ করতে হয়, মা-বাবা, নানা-নানিকে কীভাবে নিজের কথা বলতে হয়। তখন আপনার এসব দুঃখ আর থাকবে না।

তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড

Skip to content