প্রশ্নঃ আমি ৪,৩৫০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করলেও তিন বছর চাকরি জীবনে সাত লক্ষ টাকার বাড়ি, ১০টি ডিপিএস, অনেক সঞ্চয়পত্র এবং অনেক টাকা ব্যাংকে জমা হয়। অন্যায় করে আমার আত্মীয়-পরিজনের ২৯ জনকে চাকরি দেই, যারা পাঁচ বছর অফিস না করেই বেতন নিয়েছে। যেহেতু তারা সবাই ছাত্র ছিলো-ক্লাস করার মাঝে অফিস না করার ব্যবস্থা করেছিলাম। বিয়ের আগের দিন প্রতিজ্ঞা করি এমন অন্যায় আর করবো না। পরে ওই চাকরি ছেড়ে দেই। দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নেই। এখন প্রশ্ন হলো, আমার হারাম উপার্জনকে কীভাবে হালাল করবো? এক আলেম বলেছেন তওবা করলেও নাকি আমি মাফ পাবো না, যেহেতু আমার সব জমা টাকা অন্যের। বর্তমান চাকরির টাকাও নাকি হারাম, যেহেতু ঘুষ দিয়ে চাকরি হয়েছে। এই দুর্নীতির টাকা দিয়ে নাকি হজ করলেও কবুল হবে না। অবশ্য সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্যে এমনটি দরকারও ছিলো। হারাম উপার্জনকারীর তওবার ধরন কী? বিস্তারিত জানালে আমিসহ আমার মতো অনেকেই উপকৃত হবে।
উত্তরঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি, তা-ও দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষে! আমাদের সমাজে এখন সিস্টেমটাই এরকম। কেউ বাধ্য হয়ে ঘুষ খায়। কেউ ঘুষকে ঘুষ মনে না করেই ঘুষ খায়। সে মনে করে যে, এটা তার পাওনা। কারো মনে অনুশোচনা হয়। অধিকাংশের মনে অনুশোচনা হয় না। সবসময় মনে রাখবেন, অতীতকে আপনি কখনো ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। কিন্তু ভবিষ্যৎ আপনার হাতের মধ্যে। কৃতকর্মের জন্যে আপনি তওবা করুন। তওবা কবুল করার মালিক আল্লাহ। এবং আল্লাহ কার তওবা কবুল করবেন, কার তওবা কবুল করবেন না-এ ব্যাপারে ফতোয়া দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তবে অনুশোচনাটা অন্তর থেকে হতে হবে। সেইসাথে বেশি বেশি দান করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন যে, মানুষের কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করবেন। কখনো কারো অমঙ্গল করবেন না এবং যতটা পারবেন কল্যাণ করবেন। তারপরে কবুল করার মালিক আল্লাহ। আপনার অনুশোচনা, আপনার সৎকর্ম আল্লাহ যেকোনো সময় কবুল করতে পারেন।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড
Related Posts
Q&A Series – Episode 292: Failure is the pillar of success!
Q&A Series – Episode 291: What exactly is visualization?
Q&A Series – Episode 290: How does visualization work?