প্রশ্নঃ পাশ্চাত্যের দেশসমূহ অবিদ্যা দ্বারা আক্রান্ত। কিন্তু মেধার বিকাশের জন্যে আমাদের দেশে সুযোগ নেই বললেই চলে। ফলে আমাদের পাশ্চাত্যমুখী হতেই হচ্ছে। বিজ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে, জনকল্যাণকর, অকল্যাণকর যাই হোক পাশ্চাত্য এগিয়ে আছে। আমাদের প্রাচ্যে যেসব বিজ্ঞানী তারাও পাশ্চাত্যে গিয়ে গবেষণা করছেন। তাহলে আমাদের পাশ্চাত্যে গিয়ে জ্ঞান সাধনার চেষ্টা কি অবিদ্যাপ্রসূত? আবার পাশ্চাত্যে যাওয়ার সুযোগ অনেকেরই থাকে না। সেক্ষেত্রে নিজের ক্ষমতার চেয়ে ঈশ্বরের করুণার দরকার সবচেয়ে বেশি। কী করব?
উত্তরঃ প্রথমত, বিদ্যা এবং প্রযুক্তি এ দুটোকে আলাদা করতে হবে। কারণ প্রযুক্তি আপনি ভালো কাজে ব্যবহার করবেন না খারাপ কাজে ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করবে আপনার বিদ্যা বা অবিদ্যার ওপরে। আপনি যদি অবিদ্যা দ্বারা প্রভাবিত হন তাহলে প্রযুক্তিকে খারাপ কাজে ব্যবহার করবেন।
দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করতে হলে অবশ্যই পাশ্চাত্যে যাবেন। কিন্তু আমরা কয়জন সেজন্যে যাচ্ছি? প্রতি বছর যে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষার নামে বিদেশে যায় তাদের একটা বড় অংশই আর পড়াশোনা করতে পারে না। কারণ তাদের অনেকেরই প্রত্যাশা থাকে, ‘আগে তো যাই। তারপর কোনোরকমে একটা কাজ জুটিয়ে পড়ার খরচ চালাব’। কিন্তু সেটা যে এত সহজ ব্যাপার নয় তা বুঝতে শুরু করে যাওয়ার পর। কারণ এ সময়ে যেখানে তাদের লোকজনই চাকরি হারাচ্ছে সেখানে ভিনদেশি কালো চামড়ার ছাত্রছাত্রীরা অনায়াসে কাজ পেয়ে যাবে তা ভাবাটাও অস্বাভাবিক। আর পেলেও সে বেতন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার খরচ যোগানো সম্ভব নয়। থাকা-খাওয়ার খরচ তো বাদই গেল। ফলে তাদের অনেকেই শেষ পর্যন্ত হয় দেশে ফিরে আসে, নয়তো পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কোনোরকম একটা অড জব করে জীবন চালায়। আর পাশ্চাত্যের উচ্ছৃঙ্খল জীবানাচারে অভ্যস্ত হয়ে বখে যাওয়া তো আছেই। বিশেষত যারা টিন-এজে বিদেশে যায়।
এসব কারণে আমরা বলি, ছাত্রছাত্রীদের জন্যে পোস্ট গ্রাজুয়েশন লেভেলে বাইরে যাওয়াটাই ভালো। তখন এ সমস্যাগুলো হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
অতএব প্রযুক্তির জন্যে যদি হয় অবশ্যই যাবেন তা আমেরিকা, ইংল্যান্ড, চীন, জাপান যেখানে হোক। কারণ আপনাকে প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। আপনি যখন প্রযুক্তিতে দক্ষ হবেন তখন আপনার সততা শক্তি অর্জন করবে। আর একজন মানুষ যখন নিজের দক্ষতাকে প্রয়োগ করার ব্যাপারে আন্তরিক হয় তখন স্রষ্টা তার কল্যাণ করেন। আপনি ঘরে বসে স্রষ্টার করুণা চাইবেন, আর স্রষ্টা এসে প্রযুক্তির জন্যে আপনাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেবেন—তা কখনো হবে না। আপনাকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড
Related Posts
Q&A Series – Episode 292: Failure is the pillar of success!
Q&A Series – Episode 291: What exactly is visualization?
Q&A Series – Episode 290: How does visualization work?