প্রশ্নঃ এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ঋণের জাল থেকে অতি দরিদ্র মানুষের মুক্তির কি কোনো উপায় আছে?
উত্তরঃ অবশ্যই উপায় আছে। এজন্যে আমাদের জাতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। আসলে ঋণ, তা ক্ষুদ্র হোক বা বড় হোক ঋণগ্রহীতার কোনো কল্যাণ করে না-এটা আমাদের বুঝতে হবে। সেইসাথে বিশ্বাস করতে হবে যে, মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে আমরাই আমাদের অবস্থা বদলানোর জন্যে যথেষ্ট। এ পথে পরিশ্রম আছে, কষ্ট আছে কিন্তু অর্জনটা হবে অনেক বড়। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক গত শতাব্দীতে ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন করে বাংলার কৃষককে মহাজনী ঋণের অভিশাপ থেকে বাঁচিয়েছিলেন। সেই একই আদলে নতুন করে ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন করা এখন সময়েরই ডাক। এই বোর্ড ঋণ ও সুদ মওকুফ করে দিলেই নব্য মহাজনদের হাতে বন্দি দুই কোটি ৪০ লক্ষ ঋণজর্জরিত নারী নতুনভাবে জীবন শুরু করতে পারবে। জাতীয় জীবনে আসবে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড
Related Posts
Q&A Series – Episode 292: Failure is the pillar of success!
Q&A Series – Episode 291: What exactly is visualization?
Q&A Series – Episode 290: How does visualization work?