প্রশ্নঃ আমি একজন গৃহিণী। আমার বিয়ের সময় এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় কেনার ফলে আমার কাছে বেশ পরিমাণ স্বর্ণালংকার জমেছে। এগুলোর যাকাত কীভাবে দেয়া যাবে?
উত্তরঃ কমপক্ষে সাড়ে ৭ তোলা বা ৮৫ গ্রাম সোনা যদি এক বছর কারো কাছে জমা থাকে তাহলেই তাকে যাকাত দিতে হবে এগুলোর সর্বমোট মূল্যের শতকরা আড়াই ভাগ হারে, এমনকি যেসব গয়নায় বেশি পরিমাণ সোনা বা রূপার সাথে অন্যান্য ধাতু বা পাথর আছে, সেসবও সোনা-রূপার গয়না হিসেবেই গণ্য হবে এবং এতে ব্যবহৃত সোনা-রূপা থেকে খাদ বাদ দিয়ে যাকাত দেয়া কর্তব্য।
তবে গয়নার ক্রয়মূল্য নয়, বিক্রয়মূল্যের ওপর যাকাত দিতে হবে। যেমন, কারো ২০ ভরি সোনার গয়না আছে। বিক্রি করলে ভরি প্রতি ৪ আনা করে খাদ বাবদ বাদ যাচ্ছে মোট ৮০ আনা বা ৫ ভরি সোনা। অতএব ২০ ভরি থেকে ৫ ভরি বাদ দিয়ে বাকি ১৫ ভরি সোনার ওপর যাকাত দিতে হবে।
অলংকারের ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপার হলো, কারো কাছে যাকাতযোগ্য অলংকার আছে। কিন্তু নগদ অর্থ নেই, সেক্ষেত্রেও তাকে যাকাত হিসেবে নির্ধারিত পরিমাণ অলংকার দিতে হবে বা তা বিক্রি করে সেই অর্থ দিতে হবে।
তবে নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের ওপর যাকাত হয় না। তাই নাকফুল, ছোট কানের দুল, দু-এক গাছা চুড়ি বা ১টি চেইন ইত্যাদি যেসব গয়না একজন মহিলা সবসময় ব্যবহার করেন, সেসবের ওপর যাকাত দিতে হবে না। এছাড়া বাকি সব অলংকারের ওপরই যাকাতের উল্লিখিত বিধানাবলি প্রযোজ্য।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড