Business Care News

News That Matters

office with boss

Photo by Sora Shimazaki on Pexels.com

প্রশ্নোত্তর সিরিজ – পর্ব ১৯৭: বসের সাথে সুসম্পর্ক

প্রশ্নঃ বিগত ৯-১০ বছর থেকে আমার কোম্পানির কর্ণধার প্রতিটি সিদ্ধান্ত ভুল নেয়ার পরও তার শোধরানোর কোনো লক্ষণ নেই, এখনো উনি মনে করেন উনিই ঠিকমতো সব বোঝেন। কোম্পানির সবাই সবদিক থেকে ভুক্তভোগী এমনকি উনি নিজেও। আমাকেও ছাড়ছেন না। তাকে কি করে বোঝানো যায়? দয়া করে জানাবেন।


উত্তরঃ আমাদের অসুবিধা হলো, বসকে অনেক কথা আমরা বলতে পারি না। মনে মনে রাখি। নিজের চেয়ারে বসে মনে মনে সে কথাগুলো আওড়াই। ‘ব্যাটা! কত বড় বড় কথা বলে! এটা ভুল করেছে, ওটা ভুল করেছে, জানে ঘোড়ার ডিম। এ ব্যাটার এত খারাপ গুণ, তার মতো লোক বস হলো কীভাবে?’ এই যে মনে মনে আপনি আওড়াচ্ছেন মনের অবচেতন স্তরে কিন্তু তার সাথে আপনার দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। তখন বসের সাথে আপনার আর সুসম্পর্ক হবে না। ফলে যখন প্রমোশনের ব্যাপার হবে, সুযোগ-সুবিধার ব্যাপার হবে আপনি যেমন বসকে দেখতে পারেন না, বসও আপনাকে সহ্য করতে পারবেন না। অধিকাংশের চাকরি নিয়ে অসন্তোষ এখান থেকেই।

আর সবসময় ভাববেন তিনি বেশি জানেন বা আপনার চেয়ে তার গুণ বেশি বলেই তিনি আপনার বস, আপনার চেয়ে ওপরের চেয়ারে আসীন। বস যদি আপনার পরামর্শ না চান, তাহলে তাকে কিছু বলতে যাওয়াটাই হচ্ছে অর্থহীন। সবসময় মনে রাখতে হবে, বস আপনার চেয়ে যোগ্য বলেই তিনি আপনার বস। আর যদি তা মনে করতে না পারেন তাহলে আপনার এ প্রতিষ্ঠানে থাকা লাভজনক কিছু হবে না। তাই অবচেতন স্তর থেকে এই ক্ষোভ বের করে দিতে হবে। বস করেছেন এটা তার ব্যাপার, এখানে আপনার তো কিছু করার নেই।

অর্থাৎ আপনার বোঝার সীমারেখাটা টেনে নেবেন আপনি নিজেই। আর আসলে অন্যের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে পারাটাই হলো সফলতা। কারণ যারা খুব মেধাবী তারা আসলে বড় কাজ করতে পারে না তাদের মেধার অহংকারের কারণে। কিন্তু সবার সাথে মিলেমিশে কাজ না করলে আপনি কখনো বড় কাজ করতে পারবেন না। আর প্রয়োজনে আপনার বসকে কমান্ড সেন্টারে নিয়ে আসুন। নিয়মিত বোঝান। এটি ফলপ্রসূ হতে পারে।

তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড

Skip to content