প্রশ্নঃ আমার এক ক্লাসমেট আছে খুবই ইমোশনাল। সে একটা চাকরি করছে। সেখানে এক কলিগের কষ্ট দেখে খুব বিচলিত হয়ে পড়েছিল। ঐ কলিগ তার সর্বস্ব দিয়ে শেয়ার ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু অনেক টাকা লস করল। ফলে নেমে এলো তার পারিবারিক বিপর্যয়ও। তার বাবার হার্ট-এটাক হলো। টাকার অভাবে ভেঙে গেল তার বোনের বিয়ে। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে লোকটি একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করল। এসময় আমার ক্লাসমেট তার পাশে দাঁড়াতে চাইল। লোকটি কিছু শেয়ার কিনেছিল একটি নামকরা কোম্পানি থেকে, যেখানে আমার বাবা প্রশাসন প্রধান হিসেবে কর্মরত। আমার ক্লাসমেট আমাকে অনুরোধ করে যে, আমি যেন বাবার সহযোগিতায় ঐ কোম্পানির শেয়ারের কিছু তথ্য যোগাড় করে দেই। কিন্তু আমার বাবার মতো একজন সৎ মানুষকে এভাবে ব্যবহার করার প্রস্তাবকে আমি গ্রহণ করতে পারি নি। বলেছি, প্রথমত, শেয়ারের ব্যাপারে আমার বা আমার বাবার কোনো আগ্রহ নেই। দ্বিতীয়ত, রাইট শেয়ারের কোনো তথ্য এভাবে তার কাছ থেকে নেয়াটা একটা অনৈতিক ও অবৈধ কাজ হবে বলে আমি মনে করি। এর কয়েকদিন পর শুনি লোকটি আত্মহত্যা করেছে। আমার ক্লাসমেট আমাকে ফোন করে বলে তুই যদি তোর বাবার কোম্পানির শেয়ারের তথ্যগুলো দিতি, তাহলে হয়তো লোকটা আত্মহত্যা করত না। তাকে বাঁচাতে পারতাম। গুরুজী, আসলেই কি তাই? লোকটির আত্মহত্যার জন্যে কি আমি দায়ী? আমার এক্ষেত্রে আর কী করার ছিল?
উত্তরঃ আপনি তাই করেছেন যা আপনার করা উচিত ছিল। আপনার সৎ বাবাকে দিয়ে কোনো অসৎ কাজ করান নি। আর শেয়ার বাজারের এই যে পরিণতি—এটা ঘটবেই। এর আগের প্রশ্নোত্তরগুলো থেকে এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার কাছে সেটা পরিষ্কার হয়েছে। আসলে কেউ যদি নিজের পায়ে কুড়াল মারে তাকে কেউ বাঁচাতে পারে না। আপনার বন্ধুর যে কলিগের কথা বলছেন, তার মৃত্যুর সমস্ত দায়-দায়িত্ব তার নিজের। আপনার এ ব্যাপারে কোনো দায়িত্ব নেই। বরং আপনি যদি আপনার বাবার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তাকে দিতেন, সেটা হতো অপরাধ।
Related Posts
Q&A Series – Episode 292: Failure is the pillar of success!
Q&A Series – Episode 291: What exactly is visualization?
Q&A Series – Episode 290: How does visualization work?