প্রশ্নঃ আজকাল চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকেই মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে, কেউ কেউ হাতিয়েও নেয়। এগুলোকে কি বিশ্বাস করা উচিত?
উত্তরঃ আসলে চাকরি দেয়ার নাম করে আমাদের সমাজে প্রায়ই এরকম প্রতারণা চলে থাকে। একটি মেয়ের ঘটনা—‘মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ করে বেকার বসে ছিলাম। এ সময়ে আমার এক বান্ধবী জানাল তার এক ভাই আছে, যে মহিলা অধিদপ্তরে একটা চাকরি পাইয়ে দিতে পারবে। তবে তাকে দেড়লাখ টাকা দিতে হবে। বাসায় জানালে আমার বাবা বললেন, লোকটিকে একদিন বাসায় নিয়ে আসতে। বাসায় এসে লোকটি জানাল কম্পিউটার শিখতে হবে। তার কাছ থেকে ৯০০০ টাকায় একটা কম্পিউটার ভাড়া নিতে পারব। শেখা হয়ে গেলে আবার ফেরত দিয়ে দিতে হবে। টাকাটাও ফেরত পাব তখন। এরপর একদিন বাসায় এসে বলল, আগামী সপ্তাহেই আমি জয়েন করতে পারব। তবে টাকাটা দিতে হবে তার আগেই।
আমার বাবা বললেন, আগে জয়েন করুক, আমি সাথে সাথেই টাকা দিয়ে দেবো। একথা শুনে লোকটি সেই যে চলে গেল আর আসার নাম নেই। বুঝলাম, সে আর আসবে না। বাবার সচেতনতার কারণে রক্ষা পেয়েছিলাম এ প্রতারণা থেকে।’
আরেকটি ঘটনা এরকম—এক ভদ্রলোক চাকরি করছিলেন একটি বায়িং হাউজে। কথায় কথায় একদিন এক সহকর্মী তাকে বলল, আগে সে কৃষি ব্যাংকে চাকরি করত। কিন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে সেটা ছেড়ে দিতে হয়েছে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে তার যোগাযোগ আছে। সে চাইলে ভদ্রলোককে কোনো একটা ব্যাংকে ঢুকিয়ে দিতে পারবে। তারপর একদিন বলল, যুব কর্মসংস্থান ব্যাংকে একসময় সে কাজ করেছে, এমডির সাথে তার পরিচয় আছে। তাকে একটা সিভি-ও দিতে বলল।
কয়েকদিন পর জানাল, ভেতরে ভেতরে প্রসেসিং শুরু হয়ে গেছে। এখন কিছু টাকাপয়সা লাগবে। বিশ্বাস অর্জনের জন্যে তাকে একদিন ব্যাংকে নিয়েও গেল। কিন্তু এমডির রুমে সে ঢুকলো একা। বলল, একজন ভিআইপি আছেন, তাই আজ তার না যাওয়াটাই ভালো। আরো বলল, খুব শীঘ্রই ভাইভা-র জন্যে ডাকা হবে। তবে তার আগে এমডির একাউন্টে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। আর এপয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়ার পর দিতে হবে বাকি ৩০ হাজার টাকা। এমডির একাউন্ট নম্বর দেখে ভদ্রলোক পুরোপুরি আশ্বস্ত হলেন। পুরো ২০ হাজার টাকা তুলে দিলেন তার হাতে। এরপর শুরু হলো ঘোরানোর পালা। এ সপ্তাহ, ও সপ্তাহ করে যখন ভদ্রলোক সন্দেহ করতে শুরু করলেন, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। লোকটি গা-ঢাকা দিয়েছে। পরে জানা গেল, লোকটি এই একই প্রক্রিয়ায় তার আরো কয়েকজন সহকর্মীর কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
‘চাকরির নামে প্রতারণা’ নিয়ে গত ৯ জুন ২০১২—দৈনিক ইত্তেফাকে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পাঠকদের সুবিধার্থে এর কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হলো—
‘চাকরি দেয়ার নামে রাজধানীতে চলছে প্রতারণা। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নামে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তার দেয়ালে, বাসে লোভনীয় চাকরির পোস্টার সেঁটে অথবা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতারক চক্র আকৃষ্ট করছে বেকার তরুণ-তরুণীদের। এমনকি ফাঁদে ফেলে মেয়েদের ব্যবহার করা হচ্ছে নানা আপত্তিকর কাজে।
যোগদান করতে গিয়ে প্রার্থী দেখেন নিয়োগপত্রটিই ভুয়া
গত ২৭ মে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-এর (পিডিবি) ‘নিয়োগপত্র’ নিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে শাহানাজ আক্তার নামের এক তরুণী বুঝতে পারেন তাকে সরবরাহ করা নিয়োগপত্রটি ভুয়া। কারণ উচ্চমান সহকারীর যে পদে নিয়োগের কথা কথিত সেই নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা আছে, সে ধরনের পদে নিয়োগের জন্যে পিডিবি কোনো বিজ্ঞপ্তিই দেয় নি। অথচ শাহনাজ পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে সে অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তাতে উত্তীর্ণ হয়েই নিয়োগপত্রটি ডাকযোগে পেয়েছেন।
নিয়োগপত্রে উল্লেখ আছে, ‘৩০.০১.১২ ইং তারিখ সকাল নয়টায় তেজগাঁও কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে ফুলপুর, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ অফিসে ৬,২০০ টাকা স্কেলে এবং অন্যান্য সুবিধাসহ নিয়োগ করা হইল।’ কিন্তু ময়মনসিংহের উল্লিখিত স্থানে বিদ্যুত অফিসে উচ্চমান সহকারীর কোনো পদই নেই বলে পিডিবি জানায়। এমনকি সেদিন তেজগাঁও কলেজেও কোনো নিয়োগ পরীক্ষা হয় নি।
বাসে, রাস্তাঘাটে চটকদার বিজ্ঞাপন
দেশে যে হারে বেকারত্ব বাড়ছে, সে হারে বাড়ছে না চাকরির সুযোগ। ফলে হতাশ বেকার তরুণ-তরুণীরা চাকরি নামের সোনার হরিণ ধরতে ছুটছে। কোথাও কোনো চাকরির বিজ্ঞাপন দেখলেই সেখানে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে প্রতারকচক্র। আকর্ষণীয় বেতন-ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে চাকরি দেয়ার নামে বেকার ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা। পাশাপাশি নানাভাবে তাদের হয়রানি করছে।
প্রতারক চক্রের প্রধান টার্গেট বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা। পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরির কথা বলে তাদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এরপর নানা কৌশলে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের। অনেকে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে।
দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাসের জানালায়, বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে ও জনাকীর্ণ স্থানগুলোতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি শোভা পাচ্ছে! সরকার অনুমোদিত বৃহৎ গ্রুপ অফ কোম্পানিজ, ফ্যাশন হাউজ, গার্মেন্টস, বায়িং হাউজ, বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানিসহ আরো নানা প্রতিষ্ঠানের নামে এসব বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মার্চেন্ডাইজার, সুপারভাইজার, অডিটর, কোম্পানির ম্যানেজার, সহকারী ম্যানেজার, অফিস সহকারী—এ রকম নানা পদে নিয়োগের জন্যে প্রার্থী আহবান করা হয়েছে। সেইসাথে লোভনীয় নানা সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ‘চাকরি পেতে কোনো অভিজ্ঞতা ও জামানত লাগবে না’—আকর্ষণীয় এ শর্তটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বড় করে লেখা থাকে।
প্রতিবেদক নিজেই যখন চাকরিপ্রার্থী
রাজধানীতে বাসে এমনই একটি বিজ্ঞাপন দেখে সেখানে উল্লিখিত নম্বরে (০১৯১১০৯৮৪৮০) চাকরিপ্রার্থী সেজে ফোন করলে এই প্রতিবেদককে রাজধানীর কলেজ গেট এলাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে যেতে বলা হয়। সেখানে গিয়ে আবার একই নাম্বারে ফোন দিলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের উল্টোপাশে ঢাকা ল্যাবের সামনে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে একজন এসে তাদের মোহাম্মদপুর হুমায়ুন রোডের অফিসে নিয়ে যান এই প্রতিবেদককে। গিয়ে দেখা গেল, অফিস বলতে একটি কক্ষের তিনদিকে তিনটি টেবিল ও চেয়ার পাতা। এই প্রতিবেদককে একটি টেবিলের সামনে বসিয়ে বলা হলো, ‘বস এক্ষুণি আসবেন।’ ‘বস’ এলেন মিনিট দশেক পরে। এসেই বললেন, ‘এখানে চাকরি পেতে হলে প্রথমে ভাইভা পরীক্ষা দিতে হবে। এরপর দুই দিনের একটা প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এজন্যে ৬১০ টাকা লাগবে। টাকা ছাড়া ভাইভা পরীক্ষা নেয়া হয় না।’ এটা কিসের অফিস জিজ্ঞেস করতেই ‘বস’ বললেন, ‘বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শাখা অফিস।’ অথচ বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল একটি ‘বৃহৎ গ্রুপ অফ কোম্পানি’র কথা।
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে প্রতিবেদক পরদিন গিয়ে ভাইভার টাকা দেবেন জানালে সেই কথিত বস বললেন, ‘দুই-তিনশ থাকলেও হবে। আজকেই পরীক্ষা নিয়ে নেই। বাকি টাকা আগামীকাল এসে দিয়েন।’ পরে এই প্রতিবেদক ২০০ টাকা দিয়ে ‘ভাইভা পরীক্ষা’ দেন। পরীক্ষা শেষে বস বললেন, ‘এখন আপনাকে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকার একটা বীমা এনে দিতে হবে। তাহলে আপনি স্থায়ী নিয়োগপত্র পাবেন।’ এ ব্যাপারে বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে বলা হয়, মোহাম্মদপুরে তাদের কোনো শাখা অফিস নেই—চাকরি দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এভাবে মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার নামে প্রথমেই প্রার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এরপর প্রশিক্ষণের নামে করা হয় নানা হয়রানি। একসময় প্রার্থীরা নিজেরাই বিরক্ত হয়ে ভুয়া ঐসব প্রতিষ্ঠানে আর যোগাযোগ করে না। করলে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে আরো টাকা নেয়া হয়। একদিন কথিত অফিসই উধাও হয়ে যায়।
এরকম প্রতারণার শিকার এক তরুণী একটি এনজিওতে ভালো পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে রংপুর থেকে আবেদন করেছিলেন। তাকে বলা হয়, ঢাকায় এসে আবেদনপত্র পূরণ করে একটি প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে রংপুরে এনজিওটির শাখা অফিসেই তিনি যোগ দিতে পারবেন।
ঢাকায় এসে কথিত সেই এনজিওর সাথে যোগাযোগ করলে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য ফি বাবদ নয় হাজার টাকা দিতে হবে বলে তাকে জানানো হয়। কিন্তু এই টাকার কথা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, প্রশিক্ষণের নামে টাকা নেয়াই এই ভুয়া প্রতিষ্ঠানটির কাজ—দিনের পর দিন চাকরিপ্রার্থীকে শুধুই হয়রানি করা। এক সময় টাকার মায়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সবাই। চাকরি ‘সোনার হরিণ’ হয়েই থাকে।
মেয়েদের নিয়ে ভিন্ন প্রতারণা
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে নানাভাবে মেয়েদের প্রতারিত করা হচ্ছে। কৌশলে ফাঁদে ফেলে অনেককেই আপত্তিকর কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেকেই মাস না পেরোতেই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
সম্প্রতি ইত্তেফাক-এ ফোন করে এরকম ভুক্তভোগী এক তরুণী জানান তার প্রতারিত হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, ‘চাকরির সাত দিন না যেতেই চাকরিদাতা ষাটোর্ধ্ব ভদ্রলোক (!) আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। এরপর হঠাৎ একদিন তিনি আমাকে তার পান্থপথের বাসায় যাবার আমন্ত্রণ জানান। তার বাসায় যাওয়ার দাপ্তরিক কোনো প্রয়োজন ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তার পরিবারের অন্য কোনো সদস্য ঐ বাসায় থাকে না।’ তরুণীটি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আসলে চাকরি দেয়া নয়, চাকরির নাম করে মেয়েদের নানাভাবে ব্যবহার করাই এই ফ্যাশন হাউজের মালিকের উদ্দেশ্য। পরে বাধ্য হয়ে চাকরিটাই ছেড়ে দেই।’
নামকরা প্রতিষ্ঠানও প্রতারণা করছে!
চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি প্রথম শ্রেণীর বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) জনবল নিয়োগকে কেন্দ্র করে অনিয়মের ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রতারণার শিকার চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করে। অভিযোগ, প্রায় ১৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে প্রবেশপত্র দিয়ে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে অন্তত আট লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এনজিওটি। টাকা নেয়ার বিষয়টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ছিল না।
প্রতারণার সঙ্গে জড়িত শক্তিশালী চক্র
এই চক্র অত্যন্ত সূক্ষ্ম কৌশলে এই প্রতারণা করে থাকে। কোনো সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে এই চক্র প্রথমে তা সংগ্রহ করে। তারপর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়োগপত্র দেখিয়ে বেকারদের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এভাবে ৫০ থেকে ৬০ জন চাকরিপ্রার্থী যোগাড় করে। পরে রাজধানীতে অফিস নিয়ে সেই চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়। এমনকি স্বাস্থ্য-পরীক্ষা থেকে শুরু করে পুলিশ ভেরিফিকেশন—সবকিছুই করা হয় প্রতারণার মাধ্যমে। চক্রের এক সদস্যকেই বানানো হয় নিয়োগকর্তা। পরীক্ষা শেষে ঘুষ না দিলে চাকরি হবে না বলে চাকরিপ্রার্থী প্রত্যেকের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়। এমনকি ডাকযোগে ভুয়া নিয়োগপত্রও পাঠানো হয়।
মূল: প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড
Related Posts
Q&A Series – Episode 292: Failure is the pillar of success!
Q&A Series – Episode 291: What exactly is visualization?
Q&A Series – Episode 290: How does visualization work?