
প্রশ্নঃ আমার স্বামী ভীষণ নেগেটিভ মনের মানুষ। প্রত্যেক কথায় হতাশ। আমি কী উপায়ে সবসময় পজেটিভ থাকব। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে যেয়ে বুকের ভেতরে চাপ সৃষ্টি হয়।
উত্তরঃ রাগ কেন করবেন? হাজবেন্ড তো। হাজবেন্ড থেকে তো আপনি দূরে থাকতে পারবেন না। কিন্তু তার কথা যেন আপনাকে প্রভাবিত না করে। আপনি প্রো-একটিভ থাকলে তার কথা আপনাকে প্রভাবিত করবে না।
কারণ নেতিবাচকতা এবং হতাশা এটা তো একটা রোগ। তার মানে হাজবেন্ড অসুস্থ মানসিকভাবে। মানসিক যে সুস্থতা থাকা দরকার সেই সুস্থতা তার নাই। তো রোগীর ওপর রাগ করে লাভটা কী? রোগীকে যা করতে হয় তা হলো তার সেবাযত্ন। তার ওপরে রাগ কেন করবেন?
তাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবেন। একটাই তো স্বামী। নেতিবাচক হতাশ। তার হতাশা দূর করার চেষ্টা করে দেখি না! আমি কেন পারব না। তাকে কেন আমি আশাবাদী করে তুলতে পারব না!
আমাকে দেখে আমার আচরণ আমার ব্যবহারেও কেন সে আশাবাদী হবে না! তাহলে আমার ত্রুটিটা কোথায়? আমার মানে সীমাবদ্ধতা কোথায়?
কারণ আপনি আপনাকে চেঞ্জ করতে পারবেন, আরেকজনকে তো আপনি চেঞ্জ করতে পারবেন না। আরেকজন তার মতোই থাকবে। চেঞ্জ করতে পারবেন কখন? যখন সে আপনার দ্বারা মুগ্ধ হবে।
আপনি যদি তাকে মুগ্ধ করতে পারেন, আপনার প্রতি যদি মুগ্ধতা সৃষ্টি হয়, দেখবেন যে আপনাকে দেখলেই তার হতাশা দূর হয়ে গেছে।
অতএব আপনার দায়িত্ব কম না। কারণ যিনি ভালো থাকেন যিনি বোঝেন তার দায়িত্বটাই সবসময় বেশি। যে বোঝে না তার তো কোনো দায়িত্ব নাই।
কারণ উনি তো বুঝতে পারছেন না যে, ওনার এই নেতিবাচক কথায় আপনার কী হচ্ছে? আপনার বুক জ্যাম হয়ে যাচ্ছে বুক ব্যথা করছে। উনি যদি বুঝতে পারতেন তাহলে তো উনি ঐকথা বলতেন না।
অতএব নেতিবাচক এবং হতাশ স্বামীকে রোগী হিসেবে ট্রিট করা এবং তাকে রোগমুক্ত করার জন্যে যা-যা করণীয় সেটা করার জন্যে চেষ্টা করা এবং এটাই হচ্ছে আপনার কাজ। এবং আমি তো আশা করি যে, আপনি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করেন, আপনি জয় করতে পারবেন।
তথ্যসূত্রঃ প্রশ্নোত্তর | কোয়ান্টাম মেথড